শাবান মাসের ফযীলত
আরবী অষ্টম চান্দ্র মাস হল শাবান
মাস। এ মাসের পবিত্রতা ও মর্যাদা অত্যধিক বলে এ মাসকে শাবানুল মুআজ্জম বলা হয়।
মোমীন মুসলমানগণের নিকট এ মাসটির মর্যাদা অতিশয় স্মরণযোগ্য। কেননা, এ মাসের ১৪
তারিখ দিবাগত রাত্রে এ বিশ্ববাসী আঠার হাজার সৃষ্ট জীবের আগামী এক বত্সরের জন্য
ভাগ্যলিপি রচনা করা হয়। এ জন্য এ রাত্রিকে লাইলাতুল বরাতও বলা হয়।
শবে বরাত তথা লাইলাতুল বরাতের নফল ইবাদত
এ রাত্রে কোরআন শরীফ তেলাওয়াত, দোয়া
দুরূদ, তাসবীহ তাহ্লীল এবং নফল নামায পড়া ও পর দিন রোযা রাখা অসীম সওয়াবের কাজ। এ
রাত্রে (সন্ধ্যার সময়) গোসল করা অতি পূণ্যের কাজ। এ রাত্রে এশার নামায আদায় করে
লাইলাতুল বরাত নফল নামাযের নিয়তে যথাসাধ্য বেশি পরিমাণ নামায পড়বে। ধরাবাধা
রাকাতের পরিমাণ নেই। তবে যত বেশি পড়বে ততই বেশি সওয়াব লেখা হবে। ব্যবসা-বাণিজ্যে
আমরা যেমন বেশি বেশি লাভের প্রচেষ্টা করে থাকি, তেমনি পরকালে সুখে-শান্তিতে থাকার
জন্যও বেশি বেশি করে নফল ইবাদত করা আমাদের উচিত।
১। নবী পাক (সাঃ) এরশাদ করেছেন- যে
ব্যক্তি শবে বরাতে আমার উপর ১০০ বার দুরূদ শরীফ পাঠ করবে, হাশরের দিন আমি তাকে
সকলের আগে শাফায়াত করব।
২। ইবাদতের নিয়তে যে ব্যক্তি শবে
বরাতের সন্ধ্যাকালে উত্তমরূপে গোসল করবে, তার গোসলের প্রতি ফোটা পানির বিনিময়ে সাত
শত রাকাত নফল নামাযের পূণ্য লাভে ধন্য হবে।
৩। এ রাত্রে দু' দু' রাকাত করে নফল
নামাযের নিয়তে যে ব্যক্তি ১২ রাকাত নামাযের প্রত্যেক রাকাতে সূরা ফাতিহার পর সূরা
এখলাছ ১৫ বার করে পাঠ করে, সে বিশেষ সওয়াবের অধিকারী হয়।
৪। হাদীস শরীফের অন্য এক বর্ণনায়
আছে, দ্বীনের নবী (সাঃ) এরশাদ করেছেন- যে ব্যক্তি শা'বান মাসের ১৫ তারিখের দিনে
আমার উপর একশত বার দরূদ শরীফ পাঠ করে আর রাতেও একশতবার দরূদ শরীফ পাঠ করে, দয়াময় আল্লাহ্ তাআলা তাকে জান্নাতে দাখিল করবেন
এবং দোযখের আগুন তার জন্য হারাম হয়ে যাবে।
*****************